Header Ads

আত্মতৃপ্তি


এক সময় ছোট ছিলাম। চিন্তা-ভাবনাগুলোও ছিল ছোট ছোট। ভাষা ও সাহিত্যের ব্যাপারে আত্মতৃপ্তিতে ভুগতাম। ভাবতাম, আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক উন্নত। আমরা তিন/চারটা ভাষা জানি।
সামর্থের পরিধি যত বড় হল, যুগপৎ ছোট হতে লাগলো এ উদ্ভট ভাবনাগুলো। এখন তো ভাবতেই লজ্জা পাই, ভাবনার ক্যানভাস কত সংকীর্ণ ছিল! হয়রান হই, না আরবি,  না উর্দু আর না মায়ের ভাষা বাংলা। ঠিকঠাকমত আমরা কোনটা জানি!
এখন এ আত্মতৃপ্তি অনেক বড়দের মাঝেও দেখি। আঁতকে উঠি। ভবিষ্যতের হিশাব মেলাতে পারি না। ঢের অনুভব করি ভাষাজ্ঞানে আমাদের জ্ঞান কত ভাসা ভাসা! সাহিত্য-রাজ্যে চলছে কত নৈরাজ্য!
আমরা কথায় কথায় আকাবির অনুস্মরণের ফুলঝুরি ছুটাই। ভাষা ও সাহিত্য চর্চায় আকাবিরের অনুস্মরণ কতটুকু করেছি।
আমারা আজ স্বীকৃতির পেছনে ভাগছি। যোগ্যতার কথা ভাবছিই না। যোগ্যতার অভাবই নয় কি আমাদেরকে স্বীকৃতির পেছনে দৌড়াচ্ছে! এটা তো চেয়ে নেওয়ার বস্তু ছিল না। 
আশাভঙ্গের শত আগাছা থাকা সত্ত্বেও ভাবতে ভালো লাগে যে এখনকার নবীন-কিশোররা সচেতন হয়ে উঠছে, এরা নিজেদের জন্য এমন পরিবেশ গড়ে নিচ্ছে, যেখানে জ্ঞানের ঘাতক আত্মতুষ্টির আত্মবিকাশ ঘটবে না।
আমাদের অনুজদের স্বপ্ন, কল্পনার এক রূপায়ণ “আমার কন্ঠ”। শত হতাশার কুয়াশায় এক বিন্দু আশার শিশির। এদের প্রশংসা করতে চাই না, শুধু চাই, শুধু এ দোয়াই করি, এরা যেন কখনো আত্মতৃপ্তিতে না ভোগে।

(লেখাটি আমার কন্ঠ পত্রিকার জন্য রচিত)

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.